Monday, April 15, 2019
রোজার মাকরুহ এবং রোজার প্রকারভেদ || The Islamic Barta ||
রোজার মাকরুহগুলোঃ অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো বা চাখা। কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা। গড়গড় করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে গলাধঃকরণ করা।
গীবত, গালা-গালি ও ঝগড়া-ফাসাদ করা। কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া-ফাসাদ করতে এলে বলবে, আমি রোজাদার তোমাকে প্রত্যুত্থর দিতে অক্ষম। সাড়া দিন নাপাক অবস্থায় থাকা। এটি অত্যন্ত গুনাহের কাজ
অস্থিরতা ও কাতরতা প্রকাশ করা। কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেস্ট ও মাজন ইত্যাদি দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করা।
রোজা পাঁচ প্রকার:-
ফরজ রোজা: যা আবার চার প্রকার-ক) রমজান মাসের রোজা। খ) কোন কারণ বশত রমজানের রোজা ভঙ্গ হয়ে গেলে তার কাযা আদায়ে রোজা। গ) শরীয়তে স্বীকৃত কারণ ব্যতিত রমজানের রোজা ছেড়ে দিলে কাফ্ফারা হিসেবে ৬০টি রোজা রাখা। ঘ) রোজার মান্নত করলে তা আদায় করা।
ওয়াজিব রোজা: নফল রোজা রেখে ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে তা আদায় করা ওয়াজিব।
সুন্নত রোজা: মহরম মাসের নয় এবং দশ তারিখে রোজা রাখা।
মোস্তাহাব রোজা: প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, এবং ১৫ তারিখে, প্রতি সাপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবারে, কোন কোন ইমামের মতে শাওয়াল মাসে পৃথক পৃথক প্রতি সপ্তাহে দুটো করে ছয়টি রোজা রাখা মোস্তাহাব। তবে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতে এক সাথে হোক কিংবা পৃথক পৃথক হোক শাওয়ালের ছয়টি রোজা মাকরূহ।
নফল রোজা: মোস্তাহাব আর নফল খুব কাছাকাছির ইবাদত। সহজ অর্থে নফল হলো যা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত নয় এমন ইবাদত পূণ্যের নিয়তে করা। রোজার ক্ষেত্রেও তাই।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
-
দাও গো মিজান সরকার প্রভু তুমি জগৎ মাঝে দাওগো সবার মিল। সুখে-দুঃখে সদা মোদের দাওগো রহম দিল। চলার পথে সবাই সবার আপন মত হ...
-
তিতীক্ষা -মিজান সরকার বদ্ধ কারারন্তে তব উৎফুল্ল হৃদয়ে শুকরিয়া গুঁজিলাম কৃপাকরে তরে। সুহৃদে বদন তবু আখিতে ক্রন্দন জানিতাম যাহা প্র...
No comments:
Post a Comment